
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রােহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৯ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র, কার্তুজ ও কিরিচ। এরা পাশ্ববর্তী পাহাড়ে স্বশস্ত্র অবস্থান নিয়ে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রন করছিল।
জানা গেছে, টেকনাফের ২২ নাম্বার রােহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রভাব খাটানাের চেষ্টাকালে সাধারন রােহিঙ্গারা তাদের ধাওয়া দেন। ২৫ আগষ্ট ভাের ৫টার দিকে টেকনাফের রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের উত্তর-পশ্চিমে পাহাড় হতে স্বশস্ত্র আরসা গ্রুপের একটি গ্রুপ সি-ব্লক পয়েন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ক্যাম্পের সাধারণ রােহিঙ্গারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় ৫০/৬০ রাউন্ডের অধিক ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় ক্যাম্পের মাঝি ও সাধারণ রােহিঙ্গারা স্বীকার করেছে। এই সন্ত্রাসীরা উক্ত ক্যাম্পের ২২হাজার রােহিঙ্গাদের জিম্মি করে আসছে। পুনরায় পুনরায় হামলার আশংকায় ক্যাম্প এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার বিকালে টেকনাফের উনছিপ্রাং ক্যাম্প ইনচার্জ ও আর্মড পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নয়জন রােহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছ। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি দেশী তৈরি এক নলা বন্দুক, সাত রাউন্ড কার্তুজ ও দুইটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলো উখিয়ার বালুখালী রােহিঙ্গা ক্যাম্পের নজির আহমদের ছেলে আমাত উল্লাহ (২৬) টেকনাফের উনছিপ্রাং রােহিঙ্গা ক্যাম্পের রহমত উল্লাহ ছেলে নুর হাসান (১৫),একই ক্যাম্পের হাবিবুল্লাহ ছেলে জাফর আলম (৩০), আহমদ হােসেনের ছেলে আবদুর রহমান (২৩) জুহুর আলমের ছেলে মাে:আলম (২২), আহমদ হােসেনের ছেলে নুর হােসেন (২৮), উখিয়ার কুতুপালং রােহিঙ্গা ক্যাম্পের আবু শমার ছেলে আনােয়ারকুতুপালং রােহিঙ্গা ক্যাম্পের আবু শমার ছেলে আনােয়ার সাদেক (২০), টেকনাফের উনছিপ্রাং ক্যাম্পের আবদুর সালামের ছেলে মােঃ আমিন (২২) ও শাহ আলমের ছেলে মাে: সাদেক (১৫)।
এ ব্যাপারে এপিবিএন পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পি বি এন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সােহেল রানা সত্যতা স্বীকার করেন।