
ঐতিহ্যের ধারক বাহক কক্সবাজারস্থ বৃহত্তর চকরিয়ার মানিকপুর গ্রাম এর কথা বলছি। স্বপ্ন রঙিন এক মধুর ঐতিহ্যের উপাখ্যান মানিকপুর রচিত হয়েছিল হাজার হাজার বছর আগে।দিগন্ত বিস্তৃত লীলাবিমুগ্ধ সবুজের সমারোহ পেরিয়ে পাহাড়, পাহাড়ি ঝর্ণা, অপরূপ মাতামুহুরি নদীর আদুরে বেষ্টনীতে লালীত এই ছোট্ট গ্রামটির অবস্থান। শিল্প-সাহিত্যে শিক্ষায় ও ধর্মীয় চেতনাবোধ তথা বহুমাত্রিক আধুনিকতার ছোঁয়ায় অপূর্ব দৃষ্টান্তের দাবিদার এ গ্রামের মাটি ও মানুষ, রূপকথার গল্প সমেত যেন! বহুমাত্রিক জাতিগোষ্ঠীর সহনশীল অবস্থানে মুগ্ধ এখানকার প্রকৃতি ও মানুষ।একটা সময় ধর্মীয় চেতনাবোধে অসহিষ্ণুতা মিশেল থাকলেও উদার মননশীলতায় বিরাজমান মানসিকতা ও মননে সমপ্রীতির জয়ই হয় সেই সহস্রাব্ধ কাল থেকে। বাংলা ও বাঙালি জাতির গৌরব গাঁথা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর চিন্তাশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রচিত হয় ১৯৭১, স্বাধীনতা সংগ্রাম, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। সমগ্র দেশের মহান এই পট পরিবর্তনের ছোঁয়ায় জন্ম নেয় গর্বিত স্বাধীন ভূ-খণ্ডে স্বাধীন পতাকা শোভিত বাংলাদেশ। আজ তাঁরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধে পরম শ্রদ্ধেয় মুক্তিযোদ্ধাগণের সুনিবিড় সাহসী ও প্রজ্বলিত পদধ্বনিতে মুখরিত ছিল আমাদের মানিকপুর। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এর গৌরবগাঁথা চেতনা সমৃদ্ধ স্বাক্ষর স্বরূপ ২২ আগস্ট-২০২০ মানিকপুরের মাটিতে মাননীয় সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার চকরিয়া ও শ্রদ্ধেয় মরিয়ম ইসলাম সহকারী অধ্যাপক রসায়ন বিভাগ ও সহকারী প্রক্টর চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি এর হাতে পাহাড় সম উল্লাসে এই প্রথম মানিকপুরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও স্বাধীনতা পার্কএর ভিত্তিপ্রস্তর স্বগৌরবে উন্মোচন করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের তাবৎ বৃদ্ধা ও রাখাইন তরুনিদের মাঝে তাঁদের ঐতিহ্যের তাঁত শিল্পের নতুন ভাবে আধুনিক ডিজাইনে কাপড় বুননে উৎসাহ প্রদান স্বরূপ মূল্যবান সুতা প্রনোদনা হিসাবে প্রদান করেন শ্রদ্ধেয় মরিয়ম মেম মহুদয়। এ ছাড়া সর্বরকম সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাসে উল্লাসে ফেটে পড়া উপস্থিত জনগোষ্ঠি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মূখরিত করে তোলেন অনুষ্ঠানস্থল।
মানিকপুরের মেটোপথে গুণীযোগলের পদচারনার বিষয় সমেত পেইন্টিং উপহার দেওয়া হয়।