
করোনাভাইরাস মহামারির পর বিশ্বের আর সব দেশের মতো বাংলাদেশেও খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করতে দেখা যায়।
আজ এক সভায় যুব এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমিত আকারে খেলাধুলা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন,স্বাস্থ্য অধিদফতর ১০টি শর্তে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও কার্যক্রম চালুর বিষয়ে মতামত প্রদান করেছে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শর্ত হচ্ছে:
·খেলাধুলা শুরুর আগে খেলার মাঠ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুর পূর্বে, মহামারি প্রতিরোধক সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গ্লোভস, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সংরক্ষণ করে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
·সীমিত আকারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে।
·খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট সকলের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ক্যাম্প শু্রুর পূর্বে প্রয়োজনবোধে সবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা যেতে পারে।
·খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণকালীন ক্যাম্পে অবস্থানের সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে থাকার ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
·খেলা ও প্রশিক্ষণের সময় ব্যক্তিগত পানির বোতল ও তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগত সরঞ্জাম এবং জামাকাপড় নিজস্ব ব্যাগে রাখতে হবে।
·অধিক জন সমাগম না করে সীমিত আকারে খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে। মাঠে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় দর্শকদের সারিবদ্ধভাবে পরস্পর হতে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।